



নতুন প্রয়াসে ওমেন্স কলেজ
কলকাতা: “গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার /আরােগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার”-শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই সৃষ্টি আমাদের জীবনে রন্ধে রন্ধে জড়িয়ে গেছে।শিক্ষা, বিলাসিতা, অর্থ উপার্জন ছাড়াও আমাদের থাকে প্রকৃতির ওপর দায়িত্ব।যেই প্রকৃতি প্রতিনিয়ত আমাদের করে চলেছে সমৃদ্ধ।
৫ ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ওমেন্স কলেজ, কলকাতা শুধু পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে ছাত্র ছাত্রীদের তথা সমগ্র মানবজাতিকে উদবুদ্ধ করার অভিপ্রায়ে নিয়েছিল এক প্রয়াস। প্লাস্টিক রোধ থেকে শুরু করে নতুন চারাগাছ রোপন, বিভিন্ন ম্যাগাজিন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ প্রতিযোগিতা মধ্যে দিয়ে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও ছাত্রীদের মধ্যে দিয়ে সবাইকে অবগত করে পরিবেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রকৃত অর্থ।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।কলেজের আইকিউএসি এবং কলেজের অধ্যক্ষা ড: অনুপমা চৌধুরী এবং শিক্ষা কর্মীরা বাগবাজার মায়ের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় রাস্তায় নেমে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা আনার উদ্যোগ নেন। পথ চলতি মানুষের হাতের প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে তাদের কাপড়ের পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ দেওয়া হয়। এই উদ্যোগটি এই বছরের প্লাস্টিক বন্ধের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।এছাড়াও সেইদিনের দিনটিকে সমৃদ্ধ করে রামকৃষ্ণ মাইতি তার বক্তব্যের দ্বারা পরিবেশ সচেতনতা সম্পর্কে সকলকে ওয়াকিবহাল করে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী উজ্জ্বল রায়।সবথেকে অভিনব ভাবনা ছিল স্নাতক কোর্সের বাংলা বিভাগের উপস্থাপনা রবীন্দ্র ভাবনায় পরিবেশ ও প্রকৃতি।আইকিউএসি প্রস্তাবিত সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কমিটির সৃজনের হাত ধরে ছোটো ছোটো শিশুদের নিজ হাতে বৃক্ষরোপন।এছাড়াও ছিল ফুড এবং নিউট্রিশন বিভাগের কিচেন গার্ডেন যেখানে মূলত ঔষধি বৃক্ষ রোপন করা হয়।
তীব্র গরমের দাবদহে যখন নাজেহাল কলকাতাবাসী তখন ওমেন্স কলেজের এই প্রয়াস আমাদের মনে করিয়ে দিলো গাছই আমাদের প্রকৃত বন্ধু এবং তাঁদের প্রতি আমাদের কর্তব্য পালন পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।
Report – Snigdha Ghosh
