




আজ শুভ রথযাত্রা। এই আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষ তিথিতে প্রতিবছরের মতো এই বছরও জমজমাট পুরী। লাখে লাখে পূণ্যার্থীদের ভিড়ে ঢাকা পুরী। আর এই এই ভিড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন মানুষ আসে, তেমনি আসে বিদেশ থেকেও। আর এই রথযাত্রার দিনেই পুরীর সমুদ্র-শহরকে জনসমুদ্রে পরিণত হতে দেখা যায়। যেহেতু পুরীর রথ বিশ্ব বিখ্যাত তাই প্রতিবছর রথযাত্রার দিনের অনেক আগে থেকেই সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হয়। বলা হয়, এইদিন রথে চড়ে বলরাম ও সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় জগন্নাথ। রথের দিন সকাল থেকেই সমস্ত আচার-রীতি মেনে শুরু করা হয় পুজো। এইদিন নানান ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার আবরণে ঢেকে ফেলা হয় গোটা পুরী সমুদ্র-শহরকে। ব্যবস্থা নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তার। গোটা মন্দির ঘিরে বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। চেকিংয়েও রয়েছে কড়া ব্যবস্থা।
মাসির বাড়ি রওনা দেওয়ার আগে সকালে করা হয় মঙ্গলারতি। এরপর মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে নামিয়ে আনা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। এর মাঝে শিব দর্শনের করাতে ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে আনা হয় তাঁদের। তারপর দুলে দুলে বাজনা বাজিয়ে জগন্নাথ ধ্বনি উচ্চারণ করে তাঁদেরকে তোলা হয় রথে, একে পহন্ডি বলে। জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দিঘোষ, বলরামের রথের নাম তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথের নাম পদ্মধ্বজ বা দর্পদলন। এরপর নিয়ম মেনে ও ভক্তি মনে পুরীর রাজা রথ চলার পথটি সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিয়ে তাঁদের যাওরার রাস্তা করে দেন। এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান ভক্তেরা। এরমই বহু ইতিহাস হয়েছে পুরীর রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে।
Report – Swarnalye Paul
