




‘পর্ন’, এমনই একটি শব্দ যা প্রকাশ্যে আনা বা বলা তুমুলভাবে নিষিদ্ধ। এক কথায় যার অর্থ গোপনীয়তা। আমরা বরাবরই জেনে এসেছি ‘নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বা আকর্ষণ সর্বদাই বেশি’। তাই অল্পবয়সী হোক বা মধ্যবয়সী কিংবা বৃদ্ধ, এই নীল ছবি বা পর্নোগ্রাফির শিকার কম বেশি সকলেই। শুধু তাই নয়, যে দেশে বিয়ের আগে যৌন সংক্রান্ত বিষয় কথা উঠলে লোকজন নাক সিটকায়, চোখ কুঁচকে তাকায়, সেই দেশেই নীল ছবির প্রতি আকৃষ্টের সংখ্যা বেশি। তাই সরকারের নীল ছবি বা পর্নোগ্রাফিকে জীবনের আর পাঁচটা কাজের মতোই একঘেয়ে করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পর্নহাবের মালিক সলোমন ফ্রিডম্যান।
কিন্তু কেন? কোনো নীল ছবির ওয়েবসাইটে ঢুকতে গেলে পড়তে হয় কয়েকটি নির্দেশনার মুখে। ভেরিফাই বা যাচাই করতে হয় ইউজারদের বয়স। ১৮ বছরের নীচে হলে ঢুকতে দেওয়া হয়ে না সেই ওয়েবসাইটে। সম্প্রতি বেশ কিছু দেশের সরকারের কাছে এই নীল ছবি বা পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটগুলিকে বন্ধ না করে বরং সচল-স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ জানান সলোমন। কারণ যেকোনো জিনিসই প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে একসময় একঘেয়ে বা বোরিং লাগতে শুরু করে, আর এরকমটাই চান সলোমন। বর্তমানে সমাজব্যবস্থা যেভাবে এগোচ্ছে, সেখানে যৌন স্বাধীনতা ও তার অভিব্যক্তি নিয়ে মানুষ এখন গর্ববোধ করে।
এর আগেও ২০২০ সালে দেখা গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চাপে পরে বন্ধ করেছিল একাধিক ওয়েবসাইট। ২০২১ সালে মাইন্ডগিকের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রায় ৮০ লক্ষের বেশি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল কন্টেন্ট। এর ফলে আরও ফ্রিডম্যান জানান, যারা তাদের ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করবেন অর্থাৎ কন্টেন্ট আপলোড করবেন, তাদের দিতে হবে পরিচয়পত্র। যা বাধ্যতামূলক। কোনো কন্টেন্টের উপর যাতে কপিরাইট না পরে সে বিষয়ও দেখে, যাচাই করে আপলোড করা হয় ওয়েবসাইটে।
Report – Swarnalye Paul
