প্রতিটি মেয়ে বা নারীর মধ্যেই বাস করে একটি মা। দুর্গা মা। কখনও স্ত্রী, কখনও বা সমাজসেবী বা শিক্ষিকা আবার কখনও বা ডাক্তার অথবা পুলিশ সহ বিভিন্ন রূপে ধরা দিয়ে থাকেন এই নারীরা। কিন্তু তবুও এমন বহু নারী আছেন, যারা দিনের পর দিন সমাজের কাছে পদপিষ্ট হয়ে চলেছে দিনের পর দিন। শুনতে হয় কটু কথা সেই সাথে রয়েছে লাঞ্ছনা। তাই তাদেরকেই কেন্দ্র করে তৈরি হল ‘মানবী’। যার মূল রচয়িতা হলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী ঘোষ। সাথে রয়েছেন অয়নজিত সেন, সঞ্জীব বসাক, ডঃ সুজয় বিশ্বাস সহ আরও অনেকে।
মানবীর মূল রচয়িতা ও অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী ঘোষ জানান, মা দুর্গার দশটা হাত। আর এই দশটা হাতের দশ রকমের নারীর রূপ। সেই নারীরাই দিনের পর দিন কীভাবে সমাজকে বিভিন্নভাবে নিজেদের অবদান দিয়ে আসছে, সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন মাত্র। কারণ এমন বহু নারীরা আছেন, যারা কিনা এম.এ করার পরও গড়ে তুলতে পারেন নি নিজেদের পরিচয়। সেই নারীদেরকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অভিনেতা অয়নজিত সেন বলেছেন, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগের নারীর থেকে এখনের নারীদের মধ্যে পার্থক্য এমনিতেই অনেক চোখে পরে। তারা প্রত্যেকেই শুধু সমাজে না পুরো দেশটাতেই নিজেদের কোনো না কোনো চরিত্র গঠন করে রয়েছে।
ছবির এডিটর অরিজিৎ বোস জানিয়েছেন, ছবির শুরু থেকেই ছিলেন তিনি। পছন্দের কাজগুলির মধ্যে একটি হল এটি। তাঁর মতে, যেভাবে তাঁরা নারীদের এখানে দেখাতে পেরেছেন, সেভাবে যদি সমাজের মানুষ মেনে নিতে পারে তাতেই তাঁদের সার্থকতা, বলে জানান তিনি।
মডেল সঞ্জীব বসাক নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানিয়েছেন, এটা তার প্রথম ছবি। আর অভিনয় শুরুও এই ছবির দিয়ে। তিনি আরও বলেন, নারীকে দশভুজা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এখানে। যে কীভাবে নারীরা প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন, সাথে যারা এখনও কোনো পদক্ষেপ নেন নি তারাও যেন এগিয়ে আসতে পারে সেটারই প্রচেষ্টা করা হয়েছে। আর তিনিও এটির একটি অংশ হতে পেরে খুশি।
প্রফেসর ডঃ সুজয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি একেডেমিকের পাশাপাশি যুক্ত অভিনয় ও সঙ্গীত জগতের সঙ্গেও। তিনি মনে করেন, সমাজ এখনও লিঙ্গ ভেদাভেদে বিশ্বাসী। তারা এখনও পর্যন্ত মানতে নারাজ যে একটি নারীও পুরুষের মতো সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। এই ভেদাভেদটাকেই তাঁদের চিন্তাধারা থেকে বাদ দিতে চেয়েছে “মানবী”।
এই বছর পুজোতে আসতে চলেছে ‘মানবী’। অপেক্ষা শুধু দিন গোনার।
Report – Swarnalye Paul