News United India

বাংলার নারীদের সম্মান জানাতে আয়োজিত হল ‘বঙ্গ নারী সম্মান ২০২৩’

পূর্বের থেকে এখনের সমাজের ভোল বদলেছে অনেকটাই। সমাজের সেই প্রতিটি নারীর মধ্যেই থাকে কোনো না কোনো বৈশিষ্ট্য। এখন আর কোনো নারীকেই শুধু ঘরের হেঁসেলের কাজেই দেখা যায় না। বরং সেই হেঁসেলের কাজ অন্য নারী বা পুরুষদেরকে শেখাতেও দেখা যায়। কখনও লেখিকা বা সাংবাদিক রূপে, আবার কখনও বা অভিনেত্রী রূপে, কখনও ডিসিপি বা ব্যবসায়িক রূপে সমাজে দেখা যায় এই নারীদেরই। অর্থাৎ নারীরাও এখন আর কোনো অংশে পুরুষদের থেকে যে পিছিয়ে নেই সেটি যেন তারা বারংবার আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে সমাজকে। আর তাই সেইসব নারীদের সম্মান জানানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা পদে পদে মনে করিয়ে দেন অভিজিৎ গুপ্ত’র মতো মানুষেরা।

গত ২রা জুলাই, অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গ নারী সম্মান’। যার প্রধান উদ্যোগতাই ছিলেন অভিজিৎ গুপ্ত। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান। সমাজের বিভিন্ন নারীদের অবদান-কর্মকাণ্ডকে লক্ষ্য করে তাঁদের সম্মান জানাতে এগিয়ে এসেছেন তিনি। সেই সাথে তিনি কলকাতার বাকি মানুষদেরও জানাতে চান সেই সব নারীদের দক্ষকর্মের কথা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। শুধু তিনিই নন, তাঁর হাত ধরে এগিয়ে এসেছেন লাজবন্তী রায়, সোমা চক্রবর্তী, অনিন্দ্য সরকার, আর.জে সুজয়নীল বন্দোপাধ্যায়, সূর্য সিনহা, প্রমিত মুখার্জি, সঞ্জীব বসাকের মতো অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও। বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয় নারীদের। তালিকায় ছিল প্রফেসর ডঃ পুষ্পিতা মুখার্জি, ডিসিপি রিনা সরকার, সাংবাদিক স্বর্ণালী সরকার, অভিনেত্রী সুকৃতি লহরি, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর, অভিনেত্রী সুদেষ্ণা রায়, প্রফেসর ডঃ চন্দ্রানী বিশ্বাস, অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য, অভিনেত্রী অঞ্জনা বাসু, মেহরিন ভুঁইয়া মাহমুদ, ব্যবসায়িক ইপ্সিতা সেন, সঙ্গীত শিল্পী অমৃতা দে সহ প্রমুখ নারীদের নাম।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলের সাথে ভাগ করে নেন তাঁদের নিজেদের ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠার গল্প। নিজেদের সাফল্যের গল্প। আর বাংলার নারীরা যাতে মনে অপরিসীম সাহস ও মনোবল নিয়ে নির্দ্বিধায় সমাজে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে পারে সেই কথাই বারংবার মনে করিয়ে দেন তাঁরা সকলে।

Report – Swarnalye Paul

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read More

Top Stories