News United India

পৃথিবী বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন 

পৃথিবী বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন পৃথিবী বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন

ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ‘সুন্দরবন ‘যেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বা লবনাক্ত জলের জায়গা সুন্দরবন। ভ্রমণের উৎকৃষ্ট সময় শীতকাল। আর তাই শীত পড়তেই মানুষ বেড়িয়ে পড়ছে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। শহরের কোলাহল থেকে একটু বাইরে বেরিয়ে প্রকৃতির অপরূপ রুপ দেখতে সুন্দরবনের জুড়ি মেলা ভার। দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবং ভারত জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনের বৃহত্তর অংশটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগণা জেলায় সুন্দরবনের অবস্থান। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বালেশ্বর নদী আর উত্তরে বেশি চাষ ঘনত্বের জমি বরাবর সুন্দরবনের সীমানা। অনুমান করা হয়, সুন্দরী গাছের নাম থেকেই এই জঙ্গলের নাম সুন্দরবন। সুন্দরবন বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও চিত্রা হরিণের জন্য। তবে এখানে বানর, কুমির, হাঙর,ডলফিন, অজগর ও বনমোরগ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া, কেওড়া। এছাড়া ঘাস ও গুল্মের মধ্যে শন, নলখাগড়া,গোলপাতা ইত্যাদি। প্রায় ২৭০ প্রজাতির পাখি ও ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এর আবাসস্থল এই সুন্দরবন। প্রায় ৩০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে এখানে ।বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি গলদা,বাগদা, কাঁকড়া ও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সবচেয়ে পরিচিত মাছ পারশে মাছ। সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন অসংখ্য মৎস্যজীবী। এসব বন্যপ্রাণী ও সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য তথা সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ বিদেশের পর্যটকরা ছুটে আসেন। সুন্দরবনের সংরক্ষিত অভয়ারণ্য হিরণ্যপয়েন্ট যেখানে কাঠের তৈরি রাস্তায় হাঁটতে হাটঁতে অনেক ধরনের বন্য প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দূর থেকে দক্ষিণ রায়ের দেখা পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে । ডিসেম্বর থেকেই পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে সুন্দরবনে। ঝড়খালি, দোবাঁকি, সুধন্যখালি ও সজনেখালিতে ও থাকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।তবে যাই হোক , সুন্দরবন মানেই একটা গা ছমছম করা পরিবেশ। জন্তু জানোয়ার সব মিলিয়ে ভ্রমণের আনন্দের সঙ্গে মিশে থাকে হাল্কা ভয়ও। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা বন দফতর।

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় নদীবক্ষে ভ্রমণের জন্য ট্যুরিস্ট লঞ্চ ও বোটের ব্যাবহার অবশ্যম্ভাবী। দর্শকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে লঞ্চের ও বোটের চারিদিকে লাইনের দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখার ব্যাবস্থা আছে। বিশেষ করে বাচ্চা বা বয়স্করা যাতে কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন না হয় তার জন্যই এই ব্যাবস্থা। সুন্দরবন ভ্রমণের অন্য আনন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Read More

Top Stories