




তীব্র দাবদাহে জল চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ ব্যারাকপুরের গৃহবধূ
৫৩ বছর বয়েসি শ্যামা রায়চৌধুরী, ব্যারাকপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসী। ১৯৯৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শ্যামা তার পিতৃ আলয় থেকে স্বামী অরিন্দম রায়চৌধুরীর বাসভবনে চলে আসেন সামাজিক কারনেই। সেই থেকে তিনি স্বামীর বাসস্থানে শরিকি সমস্যার কারনে নিজ গৃহে কোন পরিশ্রুত পানীয় জল না থাকার দরুন রাস্তা থেকে জন সাধারনের জন্য লাগানো জলের কল থেকেই তার নিত্য প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যাবস্থা করে আসছিলেন যা এবার ২০২৩ সালে এসে সেই পানীয় জল থেকেই বর্তমানে বঞ্চিত। বর্তমানে শ্যামার বয়স ৫৩ বছর তাই কাছেই লাগানো জনসাধারণের জন্য লাগানো জলের কল বন্ধ হয়ে যাওয়ায়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। এখানেই প্রশ্ন জাগে যে কেন রাস্থায় অবস্থিত স্থানীয় পৌরসভার দেওয়া জল বন্ধ হয়ে গেল? এই প্রশ্নের উত্তরে শ্যামার বক্তব্য, এপ্রিল মাসে যখন গরম বেশ চরমে ঠিক তখনই কোন অজানা কারনে রাস্তায় লাগানো জলের কল হটাৎই একদিন ব্যারাকপুর পৌরসভার জল দফতরের আধিকারিক নিতাই ঘোষ ঘটনাস্থলে আসেন তার লোকজন নিয়ে আর খোঁড়াখুঁড়ি করে জলের পাইপ লাইন রাস্তা থেকে একটি বাড়ির আঙ্গিনার ভেতর নিয়ে গিয়ে লাগিয়ে দেন।

পরে অবশ্য অভিযোগ যে স্থানীয় বসতির কিছু লোকজনের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো হয়েছে। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভাল যে উক্ত আধিকারিক নিতাই ঘোষ একজন এলাকার পুরাতন বামপন্থী বলেই পরিচিত। তৃনমূল পরিচালিত পৌরসভা হলেও এখনও পৌরসভায় পূর্বতন পরিচালক মন্ডলি দ্বারা নিয়োগকৃত বেশ কিছু বামপন্থী মানুষ বর্তমানেও নানা পদে আসিন রয়েছেন। এমত অবস্থায় শ্যামা দেবী নিজেকে বঞ্চিত মনে করে আর অন্য কোন রাস্তা খুজে না পেয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে তার দারস্থ হয়েছেন।
