




দিনে দু তিনবার স্নান, দইয়ের ঘোল, শরবত তার সাথে কুলফি, আইসক্রিম খেয়েও ঘর্মাক্ত প্যাচপ্যাচে পরিবেশ থেকে মুক্তির কোনো সম্ভবনাই নেই। বলাই বাহুল্য এবারে মানুষকুল বড়োই অসহায় প্রকৃতির কাছে।তবে খাঁচার ভিতরে জীবনগুলো কেমন যাচ্ছে? কেমন আছে বাঘমামা কিংবা শিম্পাঞ্জি মশাই?
১২ বছরের তিথি। বিপুলায়তন ঐরাবৎ। ঠান্ডা জলের ধারা গায়ে পড়তেই আরামে চোখ বন্ধ করে দিল। তারপর একেবারে শুয়ে পড়ল মাটিতে। শুধু অলসভাবে শুঁড় নেড়ে যেন মাহুত এবং পরিচর্যাকারীদের বলল, “মেনি মেনি থ্যাঙ্কস”।
ব্রাজিল ও সাইবেরিয়া থেকে আসা পাখি ও বিদেশি পাইথনের জন্য চলছে হাইস্পিড ফ্যান। মাঝেমধ্যেই খাঁচার ভিতর করা হচ্ছে কৃত্রিম বৃষ্টি। ঠিক এই ভাবেই প্রবল গরমের মধ্যেও আলিপুর চিড়িয়াখানার বাসিন্দাদের সুস্থ রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে কর্তৃপক্ষ। কলকাতায় টানা ৬০ দিন কোনও বৃষ্টি নেই। ছিঁটেফোটা জলও কোথাও আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসেনি। কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়মিত বৃষ্টি চলছে
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানান, গরমের সঙ্গে যুঝতে পশু-পাখিদের ডায়েট চার্টও পরিবর্তন করা হচ্ছে। শিম্পাঞ্জি বাবুকে দিনে ৫ বার লস্যি পান করানো হচ্ছে। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভাল্লুক দই-ভাত খাচ্ছে। বাঘ-সিংহের মাংসের দৈনিক বরাদ্দ দেড় থেকে ২ কেজি করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক প্রাণিকে দেওয়া হচ্ছে ORS।
সুতরাং গরমের তীব্র দাবদহে সবারই প্রাণ কাহিল। সবাই অপেক্ষা করছে একফোঁটা বৃষ্টির।
Report – Snigdha Ghosh
