



বৃষ্টিভেজা রবীন্দ্রসরোবর
মেঘ বলেছে যাবো যাবো “-অবশেষে মেঘের দেখা পাওয়া গেলো। বৃষ্টিতে ভিজলো তিলোত্তমা।স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো বঙ্গবাসী। আজকের বৃষ্টিভেজা সরোবর যেন শুধু মানসিক স্বস্তি নয় বরং পুরানো দিনগুলো নাড়া দিয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস এই রবীন্দ্র সরোবর,১৯৫৮ সালের মে মাসে কেআইটি কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক তথা নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নামে এই হ্রদটির নামকরণ হয়।সেইদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি কলকাতাবাসীর দুঃখে, আনন্দে, উদযাপনে, নাটক বা খেলার মহড়ায় এমনকি ব্রেকআপে প্রকৃত বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়েছে।রবীন্দ্র সরোবরের জল বাতাস গাছ বহু ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে।
আজ ও সেই রবীন্দ্র সরোবর একই আছে।বৃষ্টিভেজা লেক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে বহুমানুষের প্রেমকে মনে করিয়ে দিয়েছে, বহু ফুটবলপ্রেমী বল পায়ে কাদা মেখে গোল মেরেছে, বহু বৃদ্ধ মা তার ছেলের হাত ধরে ফোগলা হাতের হাসির সাথে ফুচকা খেয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে অফিসকর্মরতা গরম গরম চায়ে চুমুক দিয়েছে।
গরমের রাজত্বে অসহায় চাতক পাখির মতো পিপাসিত কলকাতাবাসী একটু বৃষ্টি পেয়ে ঠিক যতটা উদযাপন করেছে, বৃষ্টিভেজা রবীন্দ্রসরোবরও বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটাকে তার মাটির সোদা গন্ধের সাথে আত্মস্থ করেছে।
Report – Snigdha Ghosh
