



মশা। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ বহন করে এই মশা তা আমরা সকলেই জানি। সকাল নেই, রাত নেই এই মশার চক্করে নাজেহাল গোটা বিশ্ববাসী। এই মশা তাড়াতে কি অবলম্বন করি না আমরা! নানান ধরনের ধূপ, স্প্রে, কয়েল, বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এমন কি বাড়িতে বাড়িতে কর্পোরেশন থেকে মশা তাড়ানোর ওষুধও স্প্রের মতো প্রায় সব কিছুই আমাদের ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই নিস্তার নেই এই মশাদের থেকে। তবে যদি জানতে পারেন এক মশাবিহীন দেশও এই পৃথিবীতে রয়েছে, তখন কি প্রতিক্রিয়া হবে আপনাদের?
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। পৃথিবীতে এমন একটি দেশের অস্তিত্ব রয়েছে যেখানে মশারই কোনো অস্তিত্ব নেই। আসলে এই দেশটির নাম আমাদের সকলের জানা। আইসল্যান্ড। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত এই দেশের জনসংখ্যা যেখানে ৩৭৫,৩১৮ জন, সেখানে একটিও মশার অস্তিত্ব নেই এটাই অবাক করার বিষয়। শুধু মশাই নয়, নেই কোনোরকমের সাপ, ক্ষতিকারক পোকামাকড়। আছে শুধু মিজ পোকা, যা মশার মতো ক্ষতিকারক নয়। মশা জামাকাপড়ের উপর থেকেও আমাদের ত্বকে কামড় দিতে পারে, কিন্তু মিজ পোকা কেবল সরাসরি ত্বকের উপর কামড় বসায়।
কিন্তু প্রশ্ন তাও রয়েই যাচ্ছে যে একটিও মশা নেই কেন? আসলে মশা সাধারণত মাঝারি বা বেশি তাপমাত্রাযুক্ত জায়গাগুলিতে বেশি আনাগোনা করে। আর সেদিক থেকে দেখতে গেলে আইসল্যান্ড হল কম তাপমামত্রাযুক্ত দেশ। অনেক সময় যার তাপমাত্রা আবার -৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। ফলে মশার এই আবহাওয়া অনুকুল নয়।
এছাড়াও রয়েছে আরও একটি কারণ, আমরা সবাই জানি যে মশার বংশবৃদ্ধি করতে হলে জমা জল অথবা জলাশয়ের একান্ত প্রয়োজন যেখানে তারা ডিম পেরে লার্ভার জন্ম দিতে পারে। তবে আইসল্যান্ড হল বরফে ঢাকা দেশ। এখানে না আছে খোলা জলাশয় আর না পাওয়া যাবে জমা জল। সুতরাং আইসল্যান্ডে মশা তাদের বংশবৃদ্ধি করতে অক্ষম।
Report – Swarnalye Paul
