




বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই ঝরছে রক্ত। হচ্ছে মৃত্যু। মুরি মুড়কির মতো পড়ছে বোমা। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এরকম শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি। আর এসবের মাঝেই উঠে এল আরো এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বিদেশে বসেই হয়ে গেল মনোনয়নের পেশ। জানা যায়, সৌদি আরবে বসেই নাকি জমা দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন মইনুদ্দিন গাজি। বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী তিনি। এই প্রথমবার বাংলার নির্বাচনে লড়বার কথা তার। কিন্তু কীভাবে সৌদি আরবে বসে বাংলার ভোট নির্বাচনে অংশ নেন? সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাই কোর্টে।
সূত্রের খবর, গত ৪ জুন ছিল পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির দিন। আর সেই সেদিনই নাকি সৌদি আরব যান মইনুদ্দিন। রাজ্যে ফেরত আসার কথা ছিল আগামী ১৬ই জুলাই। তাহলে কীভাবে দেশের বাইরে থাকার পরেও মনোনয়ন জমা পরে তাঁর? দাবি মামলাকারী আইনজীবী সলেনি ভট্টাচার্য ও শমীম আহমেদের।এতে আদালতকে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিনের হয়ে তাঁর প্রস্তাবক উমর ফারুক মোল্লা জমা দিয়েছেন মনোনয়নটি। আইনেও উল্লেখ আছে তার। তখনই বিচারপতি অমৃতা সিনহা তার বিরুদ্ধে পাল্টা প্রশ্ন করেন যে, ‘সইটা করল কে? আর সইটা মইনুদ্দিনেরই আসল কিনা সেটা স্ক্রুটিনির সময় যাচাই হয়েছে? শুধু তাই নয়, উভয়পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, কবে মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল? কবে কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁর নাম উঠল? এই সংক্রান্ত তথ্য কমিশনকে হাই কোর্টে জানাতে হবে।
Report – Swarnalye Paul
